বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

দক্ষিণ টুটপাড়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসাহ

মাদ্রাসাহ রোড, শিপইয়ার্ড, খুলনা সদর, খুলনা, বাংলাদেশ।

মাদ্রাসাহ কোড নং: ১৫৩৭১, মাদ্রাসাহ EIIN NO : ১১৭১৬১
 

আমাদের সম্পর্কে

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা

দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্থানীয় পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত বিদ্যালয়ের নীতি বাস্তবায়নের জন্য দায়ীত্বশীল । বাংলাদেশে, সকল নাগরিককে অবশ্যই দশ বছরেরর মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে যা প্রাথমিক বিদ্যালয় স্তরে পাঁচ বছর এবং উচ্চ বিদ্যালয় স্তরে পাঁচ বছর। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষা রাষ্ট্র দ্বারা অর্থায়ন করা হয় এবং সরকারি বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করা হয়।


সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্প্রাথায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক এই তিনটি প্রধান ধাপে বিভক্ত রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার পরিধি ৫ বছর,যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পরবর্তীতে অষ্টম পর্যন্ত বৃদ্ধির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষার পরিধি ৭ বছরকে তিনটি উপধাপে বিভক্ত যথা নিম্নমাধ্যমিক ৩ বছর, মাধ্যমিক ২বছর এবং উচ্চমাধ্যমিক ২ বছর। প্রাথমিকে প্রবেশের বয়স ৬ বছর, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের বয়স যথাক্রমে ১১ থেকে ১৩ থেকে ১৪ থেকে ১৫ এবং ১৬ থেকে ১৭ বছর। ডিগ্রি পর্যায়ের সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি, প্রকৌশলী, কৃষি, ব্যবসায় শিক্ষাকে উচ্চ মাধ্যমিক অনুসরণ করা হয় এবং মাস্টার্স পর্যায়ের চিকিংসা শিক্ষা ৫ থেকে ৬ বছর।সাধারণ শিক্ষায় উচ্চ মাধ্যমিককে অনুসৃত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা পাস/অনার্স ডিগ্রি কোর্স (৪ বছর) দিয়ে শুরু হয়। মাস্টার্স কোর্স ডিগ্রী অনার্স ডিগ্রী প্রাপ্তদের জন্য ০১ বছর এবং ডিগ্রি পাস শিক্ষার্থীদের জন্য ০২ বছর। এছাড়া কারিগরির আওতায় উচ্চ শিক্ষা, উচ্চ মাধ্যমিকের পর থেকে শুরু হয়। প্রকৌশল, ব্যবসা, চিকিৎসা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হল কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রধান ক্ষেত্র। চিকিৎসা শিক্ষা ছাড়া প্রতিটি কোর্স ৫ বছর।


ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা

বাংলাদেশ এ ইসলামী শিক্ষা সাধারণত মসজিদ ও মাদ্রাসা ভিত্তিক হয়ে থাকে। মাদ্রাসার প্রাথমিক স্তর মক্তব, নূরানি বা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা নামে অভিহিত। ফোরকানিয়া শব্দের মূল ফুরকান যার অর্থ বিশিষ্ট। মিথ্যা থেকে সত্যকে সুস্পষ্টভাবে পৃথক করে বলে পবিত্র কুরআন-এর আরেক নাম আল ফুরকান। প্রাথমিক স্তরের যেসব মাদ্রাসায় কুরআন পাঠ ও আবৃত্তি শেখানো হয় সেগুলিকে বলা হয় দর্‌সে কুরআন। সাধারণত স্থানীয় কোন মসজিদেই আশেপাশের পরিবারের ছোটদের প্রাথমিক পর্যায়ের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরাই সাধারণত এর শিক্ষক বা উস্তাদ হন।